August 2, 2025, 8:38 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলে স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা নির্দেশিকা অনুসরণ নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরটিতে ইতোমধ্যে একজন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এবং একটি নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে কিছু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে, দেশের সকল স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংসহ কঠোর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সতর্কতা ৪ জুন স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফারহাদ হোসেন-এর জারি করা এক সরকারি আদেশের মাধ্যমে জারি করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে, ভারতসহ সংক্রমিত দেশগুলো থেকে আগত সন্দেহভাজন যাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বার্তা প্রচার ও কঠোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধি (আইএইচআর) স্বাস্থ্য ডেস্কের মাধ্যমে।
বেনাপোল চেকপোস্টে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, ভারত থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের করোনা উপসর্গের জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। কেউ কোভিড-১৯ বা ওমিক্রনের উপসর্গ নিয়ে ফিরলে তাকে স্থানীয় সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হবে বলেও তিনি জানান।
ফেরত আসা যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বাংলাদেশের বিপরীতে ভারতের অনেক অঞ্চলে কোভিড-১৯ বা ওমিক্রন শনাক্তে কোনো স্ক্রিনিং বা টেস্ট কার্যক্রম নেই।
২০২০ সালের শুরুতে বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে দেশে একাধিক সংক্রমণের ঢেউ দেখা দেয়, যা জনস্বাস্থ্য সংকটে রূপ নেয়। সরকার তখন বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জনসমাগম এড়ানোর মতো স্বাস্থ্যবিধি জারি করে। তবে সময়ের সঙ্গে সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় এসব বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হয়ে যায়।
সম্প্রতি দেশে আবারও সামান্য হারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এ কারণে সরকার জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুনরায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
Leave a Reply